বাড়াবাড়ি করলে বরখাসেত্মর ভয় দেখাতো চাকরি থেকে। এভাবেই সে তার বিকৃত যৌনানন্দ লাভের জন্য যৌনদাসীতে পরিণত করেছিল ব্রিলিয়ান্ট হিরা লি.-এর অফিস সহকারী পারভীন আক্তার আঁখি ওরফে কণিকাকে। এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট দিয়ে অফিস সহকারী থেকে হয় অফিসের ম্যানেজার। বেতন ধার্য করে মাসে ৪৫ হাজার। পুলিশ ও অফিস সংশিস্নষ্টরা জানান, সে ছিল নারীভোগে স্বেচ্ছাচারী। বিছানায় যাবার আগে নেশায় মাতাল হতো। পড়নত্ম বয়সের কারণে খেতো যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট। ল্যাপটপে ধারণ করা কুরম্নচিপূর্ণ অশস্নীল দৃশ্য দেখিয়ে লিপ্ত হতো অসামাজিক কাজে। যৌনানন্দের মাত্রা বাড়াতে কণিকাকেও সে নেশাদ্রব্য খাইয়ে নেশাগ্রসত্ম করে তুলতো। মদ, বিয়ারসহ পেথিড্রিন-ও গ্রহণ করতো তারা। উত্তরা জোনের ডিসি নিসারম্নল আরিফ জানান, ইনজেকশন দিয়ে পেথিড্রিন নেয়ার মতো বেশ কয়েকটি কালো দাগের চিহ্ন রয়েছে কণিকার হাতে। গত মঙ্গলবার উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টর (৩/বি রোডে)’র ১ নম্বর বাসার ফ্ল্যাট থেকে কণিকার ঝুলনত্ম লাশ উদ্ধারের সময় পুলিশ ল্যাপটপ, মোবাইল, ডায়েরিসহ বেশ কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্যও উদ্ধার করে। তবে তদনত্ম কর্মকর্তা সেলিম জানান, তারা কোন আলামত জব্দ করেনি। তবে ল্যাপটপ ও অশস্নীল ছবির প্রসঙ্গে কথা বললে তিন জানান, ল্যাপটপ আছে তবে সেখানে কোন ছবি নেই। উত্তরা থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, অনু জায়গীরদার একজন বিকৃত যৌনগ্রসত্ম ব্যক্তি। তার মধ্যে কোন পাপবোধ নেই। গ্রেপ্তারের পরও সে থানা হাজতে নির্লিপ্ত ছিল। হাসাহাসিও করেছে। তিনি জানান, থানা হাজতে থাকাকালীন তার ঔদ্ধত্য আচার-আচরণসহ সকল কর্মকাণ্ড ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আলামত হিসেবে উত্তরার ওই ফ্ল্যাট থেকে একটি ল্যাপটপ, মোবাইল, ডায়েরি, কাপড়-চোপড়, ভাঙা আসবাবপত্র ও নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি জব্দ করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানার জন্য দু’দিনের রিমান্ড নিয়ে অনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল তাকে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মামলার তদনেত্মর স্বার্থে প্রয়োজন হলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হিরা কারখানা: কাগজপত্রে ‘ব্রিলিয়ান্ট হিরা লি.’ নাম থাকলেও এ নামের কোন সাইনবোর্ড কিংবা কোম্পানির নাম সংবলিত কোন চিহ্ন নেই টঙ্গীর সেনাকল্যাণ কমার্শিয়াল কমপেস্নক্স ভবনে। ভবনের নিচতলার একপাশে এক বদ্ধ জায়গায় তার কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বাইরের কোন লোক এ অফিসে ঢুকতে পারে না। এমনকি পাশের দোকান মালিকরাও জানেন না কিসের কারখানা বা কি তৈরি হয় সেখানে। এ কারখানার পাশেই রয়েছে ফিলিপসের একটি শোরম্নম। এ শোরম্নমের মালিক জানান, এ অফিসটি রহস্যময়। প্রতিদিন সকালে ৩০-৩৫ জন সুন্দরী মহিলা ঢোকে। একজন নিরাপত্তারড়্গী ছাড়া কোন পুরম্নষ কর্মচারী নেই সেখানে। কারখানা থেকে কখন বের হয় তা-ও জানি না। সারাড়্গণই দরজা বন্ধ থাকে। নিরাপত্তারড়্গী দরজার ভেতরে নির্দিষ্ট আসনে বসে থাকে। অফিসের কর্মচারী ছাড়া সেখানে কারও প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। বাইরে থেকে অফিসে ঢোকার সময় কথা হয় অফিসের এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে। তিনি নিজেকে ব্রিলিয়ান্ট হিরা লি. কারখানার জেনারেল ম্যানেজার বলে পরিচয় দেন। তবে অফিস ও অফিসের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি জানান, আমাদের মালিক গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা এখন চাপের মধ্যে আছি। তাই কোন কথা বলতে পারবো না। ভবনের নিরাপত্তারড়্গী আবদুর রউফ জানান, শুনেছি ওই কারখানার ভেতর রাডারসহ অনেক ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে। অফিসের একটি সুচ হারালেও মালিকের কম্পিউটারে তা ধরা পড়ে। উত্তরা থানার ওসি জানান, অনু জায়গীরদার হিরার ব্যবসায়ী নয়। সে মূলত দেশের বাইরে থেকে হিরা কাটার অর্ডার নিয়ে থাকে। হিরা নিয়ে এসে অর্ডার অনুযায়ী হিরার বিভিন্ন আকৃতি দিয়ে থাকে তারা। অনলাইনের মাধ্যমেই সে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের কাজ করে থাকে। তিনি জানান, এ ব্যবসা তাদের পৈতৃক পেশা। অনুর পিতা ওবায়েদ জায়গীরদার এবং তার পিতাও এ পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আত্মহত্যা না হত্যা: এদিকে দু’দিনের রিমান্ড শেষে অনুকে কোর্ট হাজতে পাঠালেও পুলিশ কণিকার মৃত্যু রহস্যের কিনারা খুঁজে পায়নি। সে আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। নিহত কণিকার পরনে অফিসের পোশাক টি-শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট ছিল। এ পোশাক পরা অবস্থাতেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসার গৃহকর্মী ও প্রতিবেশীরা জানান, কণিকা রাতে বাসায় ঢুকে অফিসের পোশাক বদল করে রাতের পোশাক পরতেন। ঘটনার রাত ১০টা পর্যনত্ম অনু ওই ফ্ল্যাটেই ছিল। এ সময়ের মধ্যেই তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়াসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া পরের দিন সকালে গৃহকর্মী দরজা খোলা পায়। এ খোলা দরজা দিয়েই কণিকার ঝুলনত্ম লাশ দেখতে পায়।
|
Thursday, 19 July 2012
হীরক কোটিপতির বিকৃত যৌনাচারের কাহিনী
Posted by Mahi7ete on 18:00 with No comments
হিরক ব্যবসায়ী অনু জায়গীরদার টার্গেট করতো অফিসের উচ্চাভিলাষী নারী সহকর্মীদের। অর্থ দিয়েই বাগে আনতো। শুধু অর্থে কাজ না হলে সেড়্গেত্রে করতো প্রেমের অভিনয়। বউ করারও স্বপ্ন দেখাতো তার অফিসের সুন্দরী নারীদের। অতঃপর সেই নারীর সর্বস্ব লুটে নিয়ে অস্বীকার করতো সব সম্পর্ক।
Posted in http://choda-chudi.blogspot.com/
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment